সিপিএম এর মিছিলে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে : অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

31st December 2020 4:42 pm বাঁকুড়া
সিপিএম এর মিছিলে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে : অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  সিপিএমের মিছিলে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল আশ্রিত দূস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বেলশুলিয়ার ঘটনা। এই ঘটনায় প্রায় ১৮ জন CPI(M)কর্মী সমর্থক আহত বলে সিপিএম সূত্রে দাবি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব ।

সিপিএম সূত্রে দাবি, পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী দিল্লীর কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে এদিন স্থানীয় খড়কাটা থেকে জামশুলি পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয় । বিষয়টি আগাম পুলিশকেও জানানো হয়েছিল । এদিন ঐ মিছিল বেলশুলিয়ায় শাসক দলের কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছালে তৃণমূল আশ্রিত দূস্কৃতিরা বোমা ও ইঁট বৃষ্টি শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ । এই ঘটনায় গুরুতর আহতদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।

সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন ঘোষ বলেন, মিছিলের আগে গতকাল থেকেই তৃণমূলী দূস্কৃতিরা হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বোমা ফাটাচ্ছিল । পুলিশ উপস্থিত থাকলেও জনা আটেক দূস্কৃতির মোকাবিলা করতে পারেনি । তাদের সামনে ইঁট ও বোমা নিয়ে আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ হয়েছে। ভীত সন্ত্রস্ত তৃণমূল এই ধরণের ঘৃণ্য আক্রমণের পথ নিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন ।

তৃণমূলের বিষ্ণুপুর ব্লক সভাপতি সুশান্ত মুখার্জী সিপিএমের দাবী অস্বীকার করেছেন । উল্টে তিনি অভিযোগ করেন, সিপিএমের লোকেরাই তাদের অফিস ভাঙ্গচুর করেছে । এই ঘটনায় সিপিএম মিথ্যেভাবে তাদের নাম জড়াচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।